#সফলতা  Amar vaiya ❣️

আসসালামু আলাইকুম। 

"★★★এসএসসি তে ৪.৮৯ পেয়েও মেডিকেল চান্স পাওয়া সম্ভব😮!★★★ হ্যা সম্ভব!😊তাহলে এই জার্নির গল্প সেয়ার করি 😍

আমি মেহেদী হাসান।আমি জীবনে অনেক স্কুল পরেছি।যদিও বাবা বিজনেস করেন।কারন আমার মনের মতো স্কুল নাহলে পড়ার ইচ্ছাই হতো না।যাই হোক!আসল কথায় আসি😇অবশেষে রানীপুকুর স্কুল এন্ড কলেজ এ ভর্তি হলাম।

আমি এসএসসি প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ২০১৮ সালে অনেক ভালো প্রস্তুতি ছিলো।পরীক্ষা ও অনেক ভালো দিয়েছিলাম।কিন্তু রেজাল্ট আসলো ৪.৮৯ 😪😪

এই রেজাল্ট আমার মোটেও আশানুরূপ ছিলো না।অনেক কান্না করেছি, অনেক কষ্ট পেয়েছি,কত যে মানুষের বাজে কথা সুনেছি😪তারপরও আমি নিজে ভেঙ্গে পরিনি😊।কারণ আমার স্বপ্ন ছিলো ডাক্তার হবো।এই স্বপ্ন কে সামনে রেখে শুরু হলো ইন্টারমিডিয়েট এর নতুন জার্নি।অনেক বার নিজের প্রতি খুবই রাগ উঠে কি করলাম জীবনে বাবা মাকে কিছুই দিতে পারলাম না😪।তার পরও মা বাবার কথা মনে পরে আর ভাবি যে আমাকে আমার স্বপ্ন পুরণ করতেই হবে,যেভাবেই হোক! তাই সব সময় নিজেকে পড়ার মধ্যে আগলিয়ে রাখতাম।নামাজ পরে আল্লাহ কাছে সাহায্য চাইতাম।পড়াশুনার জনজন্য অনেক ফ্রেন্ড কে সময় দিতে পারিনি বলে কত কথা শুনা লাগতো😪,"যে রেজাল্ট তাতে আবার স্বপ্ন দেখে মেডিকেল এর😪" আমি এক কান দিয়ে শুনেই যেতাম, আর মনে মনে কাঁদতাম, কাউকে তো বুঝাতে পারতাম না আমার কতটা কষ্ট হচ্ছে এগুলা শুনে😪।যাই হোক,নিজের  মনকে শক্ত করতাম।এভাবেই পড়াশোনা চালিয়ে অবশেষে এইচএসসি পরীক্ষা চলে আসলো।কিন্তু পরীক্ষা আর হলো না করোনা ভাইরাসের কারনে😔।অটোপাস দিবে নাকি এই সুনে আসমান ভেঙ্গে মাথায় পরার মতো অবস্থা আমার।তারপর ও আমি হাল ছারিনি আমার স্বপ্ন পুরণের জন্য। সবসময় আল্লাহ কাছে চাইতাম। তাহাজ্জুদ এর নামাজ এ আল্লাহ কাছে যে পরিমাণ কেঁদেছি আর আমার জন্য মেডিকেল এ একটা সীট চেয়েছি তা মহান আল্লাহ জানে।এভাবেই চলতে থাকলো আমার পড়াশুনা। যেই দেখালাম অটোপাস দিয়ে দিবে তখন থেকে লেগে পড়লাম মেডিকেল প্রস্তুতি নিয়ে।আমি অবশ্য ইন্টারমিডিয়েট ফাস্ট ইয়ার থেকেই মেডিকেল প্রিপারেশন এস্টাইল এ পড়তাম।তাই আমার মেডিকেল প্রিপারেশন সময় পড়াশুনা অনেক সহজ লাগতো।রেগুলার পড়াশুনা ধরে রাখাই টাফ! কারন কতক্ষণ আর মন থাকে পড়াশোনায়?. তাই বাবা মা যে আমাকে কষ্ট করে পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছে তাদের কথা মনে পরলে আবার পড়াশোনার জন্য অনেক শক্তি মনে পেতাম।রাত জাগার গল্প প্রতিটি মেডিকেল স্টুডেন্ট এর কাছে অনেক কমন!কত শান্তির ঘুম হারাম করে পুরোগায়ে কম্বল জরিয়ে পড়তাম আর আল্লাহ কে বলতাম" আল্লাহ আমাকে সাহায্য করুন" এভাবেই কত যে রাত জেগেছি পড়াশোনার জন্য। 

যতোই দিন যাচ্ছে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা তাতোই নিকটে আসছে তখন আবার পড়ার এস্টাইল চেন্জ করলাম।এবার পড়াশোনার রেগুলার করতাম আর পরীক্ষা দিতাম। নিজে নিজে খাতা কাটতাম আর নিজে ভালো মার্ক পেলে মেডিকেল কলেজ টাও উল্লেখ করতাম কোথায় চান্স পেলাম😊😊।এমনটা ভাবলে অনেক ভালো লাগা কাজ করতো।পরীক্ষার আগের রাতে সব কিছু গুছিয়ে রাখলাম।ঘুমাতে এসেছি ৯টায়🥰।কিন্তু ঘুম তো চোখে নাই।কি যে ছটফটিয়ে কাটাছি প্রতিটা সেকেন্ড একমাত্র সেই অনুভব করবে যে এই পরীক্ষা দিবে।রাত ২ টা বাজে ঘুম কই?😔আবার নামাজ পরে আল্লাহর কাছে ঘুম চাই আল্লাহ আমাকে ভালে ভাবে ঘুমানোর জন্য সাহায্য করুন।আল্লাহর রহমতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেও জানিনা😇।সকাল এ ফজরের নামাজ পড়লাম। সবকিছু  ঠিকঠাক আছে কিনা চেক করে খেয়ে পরীক্ষার উদ্দেশ্য রহনা দিলাম পুরা পরিবার এ🥰🥰।

অবশেষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২ এপ্রিল  অনুষ্ঠিত হলো রংপুর মেডিকেল কলেজ এ।পরীক্ষা অনেক ভালো দিয়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ! 😊তারপরে রেজাল্ট এর পালা ৪ এপ্রিল রাত যখন ৮ বাজে তখন আমার রেজাল্ট আসেনা নেট যে কি য্যাম বলার মতো না।★অপেক্ষা সমানুপাতিক হার্টবিট😍★।১০ টায় আমার রেজাল্ট হটাৎ  আসেলো! 😮আমি রেজাল্ট পাওয়ার পরও ১ মিনিট নিজে তাকিয়ে দেখেছি অবাক হয়ে। আলহামদুলিল্লাহ ১.৬৫ মার্ক  কেটেও মেডিকেল এ চান্স পেয়েছি 😍।বাবা মা ভাই ভাবি বোন সবাইকে বললাম আমি চান্স পেয়েছি "শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়ায় 😍" সবাই অনেক খুশি। আমি আমার বাবাকে কখন বুকে জরিয়ে ধরিনি খুবেই ভয় পাই,রেজাল্ট পেয়ে বাবাকে জরিয়ে ধরে কেঁদেছি আর বলেছি বাবা তোমার ছেলে স্বপ্ন পুরন করতে পেরেছে।আমিও কাঁদি বাবাও কাঁদে 😍।এগুলা সুখের কান্না। আল্লাহর কাছে হাজার ও শুকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ। 

★★

ছোট ভাইয়া ও আপু তোমাদের উদ্দেশ্যে এই জন্য বলা রেজাল্ট একটু খারাপ হলেও মন খারাপ করবে না। স্বপ্ন যদি দেখে থাকো তাহলে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখবে।ইনশাআল্লাহ সফল হবে।মানুষ অনেক কথাই বলবে। অনেক সমালোচনা ও করবে।অনেক এ চাইবে তুমি বা আমি যেনো ভালো জায়গাতে না যাই। সো বন্ধু নির্বাচনে সজাগ থাকবে।এখন তোমাকে কেউ ইগনোর করবে?!  করুক!  তাতে তোমারি লাভ।সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।কথাগুলো কতটুকু গুছিয়ে বলতে পারছি জানিনা।কোনো ভুল ত্রুটি হলে সবাই ক্ষমা সূলভ দৃষ্টিতে দেখবেন 😇।

Md Mehedi Hasan 

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল, বগুড়া 

শজিমেক -৩০

সেশনঃ২০২০-২০২১