ফেসবুক কথন: Dos & Don’ts


ফেসবুকে মার্ক জাকারবার্গের একটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ লাইভ দেখছেন। হঠাৎ দেখলেন সে লাইভের নিচে কেউ একজন ৩০০ টাকার এনার্জি বাল্ব ১০০ টাকায় বেচতে চলে এসেছেন? কিংবা নোয়াখালীকে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশের ৯ম বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবি করে বসেছেন? অথবা কোনো এক নোকিয়া ১১০০ ব্যবহারকারী চিকন পিনের চার্জারের খোঁজ করছেন? কেমন লাগবে আপনার? নাকি আপনিও মাঝেমধ্যে ডোপামিন সংকটে ভুগে এ টাইপের কমেন্ট করে বসেন যেখানে সেখানে? তারপর সেখানে বেশ কিছু রিঅ্যাকশন পেয়ে নিজেকে সুপারহিট ভাবেন? আপনি যদি দুর্ভাগ্যবশত দ্বিতীয় গোত্রের আওতাভুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে এই লেখাটা আপনাকেই উৎসর্গ করছি।


ফেসবুক ব্যবহার করে না, বাঙ্গালি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সংখ্যাটা দিনকে দিন এত অস্বাভাবিক হারে কমে আসছে যে কিছুদিন পর হয়তো আঙ্গুলের কর গুনে বলে দেয়া যাবে ফেসবুকে এখনো কোন তরুণ আসক্ত হয় নি! ফেসবুক অনেকদিন ধরেই আর নিছক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়, একে এখন বলা চলে ভার্চুয়াল একটা জগত, নীল সে জগতে বাস করছে বি


শ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। তাই এই ফেসবুক ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও মেনে চলা উচিত কিছু আদবকেতা!

প্রথমেই আসা যাক, ফেসবুকে কী কী করা অনুচিত-


১) নিজের প্রোফাইলের নামটাও নিজেরই থাকুক- আমরা আমাদের পরীক্ষার সার্টিফিকেটে আমাদের পুরো নামটাই দেই, তাই না? ফেসবুককে যেহেতু আমাদের ভার্চুয়াল প্রোফাইল বলা হচ্ছে, তাই ফেসবুকেও আমাদের পুরো নামটা দেয়া উচিত। আপনার নাম সত্যিই যদি অদ্ভুত বালক, এঞ্জেল কণা বা ড্রিম বয় রিফাত না হয়ে থাকে, তাহলে সেগুলো বাদ দিয়েই আপনার ফেসবুক আইডির নাম দিতে হবে আসল নাম দিয়ে। নইলে কোনো একদিন ফেসবুক সিদ্ধ্বান্ত নেবে, এমন নামের কারো থাকার সম্ভাবনা নেই, তাই গায়েব হয়ে যাবে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল।


তাই, ছদ্মনামে প্রোফাইল ব্যবহার করা অনুচিত। কেউ কেউ আবার সেলিব্রিটিদের নাম ব্যবহার করে; যেটা একেবারেই উচিত নয়।


২) প্রোফাইল পিকচারে নিজের ছবি রাখুন- তুমি যদি তোমার প্রোফাইল পিকচারে সালমান খান বা একটা গোলাপ ফুলের ছবি দাও, তখন মানুষ স্বভাবতই মনে করবে যে তুমি তো সালমান খান নও, আর গোলাপ ফুল তো আর ফেসবুক আইডি খুলতে পারে না, তাই তোমার নিশ্চয়ই কোন কু-মতলব আছে! এরকম অহেতুক সন্দেহ থেকে বাঁচতে নিজের প্রোফাইল পিকচারে নিজেরই একটা ছবি দিয়ে ফেলো, যদি না অন্য কোন সমস্যা না থেকে থাকে।


তাই, অন্য কারো ছবি প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক নয়। অনেকে ফুল, প্রাকৃতিক দৃশ্য, পশু পাখি, পুতুল কিংবা কার্টুনের ছবিও দিয়ে রাখে। যেটা না করাই উচিত।


৩) অপরিচিত কাওকে ফেসবুকে অ্যাড নয়- অপরিচিত কাওকে ফ্রেন্ড রিক্যুয়েস্ট পাঠানো কিংবা অপরিচিত কারো রিক্যুয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করা থেকে বিরত থাকুন।


৪) ফেসবুকে গোপনীয়তা বজায় রাখুন- নিজের একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য কখনই ফেসবুকে দেওয়া উচিত নয়। নিজের ফোন নাম্বার, ইমেল অ্যাড্রেস, জন্ম তারিখ এর মতো তথ্য ফেসবুকে না দেওয়াই ভালো।


৫) টাকা চেয়ে আসা মেসেজে বিভ্রান্ত হবেন না- অপরিচিত কারোর দেওয়া তথ্য বা মেসেজের ওপর ভরসা করে কাওকে টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া বোকামি। এ বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা মঙ্গল।


৬) সব পোস্ট পাবলিক নয়- পোস্ট করার আগে পোস্টের প্রাইভেসি চেক নেওয়া উচিত। সব ধরণের পোস্টের প্রাইভেসি পাবলিক  থাকা নিরাপদ নয়। নিজের পারিবারিক ছবি, কিংবা তথ্য ফেসবুকে পাবলিক করে পোস্ট করাটা অবান্তর।


৭) ভাষা সংযত রাখুন- আজেবাজে ভাষা, গালিগালাজ, কুরুচিকর মন্তব্য করাটা এখনকার ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, ফেসবুকে পোস্ট, কমেন্ট, মেসেজ করার আগে চিন্তা-ভাবনা করে নেওয়া উচিত। করার আগে এটা মাথায় রাখা উচিত আমাদের কথাবার্তা ও কার্যকলাপই আমাদের ব্যক্তিত্বের নির্দেশক।


৮) পোস্ট করুন ভেবে-চিন্তে- ফেসবুকে অনেকেই অনেক কিছু নিয়ে পোস্ট করে, সেগুলোর কোনো  কোনোটা এতই অজনপ্রিয় হয় যে পোস্টদাতার ফেসবুক জীবন বিষিয়ে ওঠে! এই ব্যাপারটার একটা সমাধান আছে। মনে করুন, আপনি একটা চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে। এখন চৌরাস্তার মাঝে কিন্তু আপনি কাউকে গালিগালাজ করতে পারেন না, নিজের ব্যক্তিগত তথ্য বলে বেড়াতে পারেন না। কারণ সেখানে পরিচিত অপরিচিত অনেকেই আপনাকে দেখছে!


ফেসবুকের নিউজ ফিডকে বলা যায় ভার্চুয়াল জগতের চৌরাস্তা। তাই এরপর থেকে যখন ফেসবুকে কোনোকিছু নিয়ে পোস্ট করবেন বা লাইভে যাবেন, একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন যে, চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে কি এই কথাগুলো বলতে পারতেন আপনি? যদি পারেন, তাহলে করে ফেলুন পোস্ট। না পারলে দয়া করে করবেন না, কারণ সেটিই হতে পারে আপনার ফেসবুক একাউন্টটার মৃত্যুর কারণ!


৯) যাচ্ছেতাই কমেন্ট নয়-  এটাকে বলা যায় সবচেয়ে দরকারি লেসন। আমরা ছোটবেলায় বাবা-মার কাছ থেকে সবাই এই শিক্ষাটা পেয়েছি যে, অপরিচিত মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হয়, আদব লেহাজের সাথে চলতে হয়। বাস্তব জগতের এই ভদ্রতাটা কিন্তু ভার্চুয়াল জগতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।


কেউ একজন কিছু একটা পোস্ট করলো, তাতে আক্রমণাত্মক কমেন্ট, গালাগালি করা কিংবা হুমকি দেয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক না! আপনি হয়তো ভাবছেন এ তো সামান্য ফেসবুক, এখানে একটু মারামারি করলে এমন আর কী হবে। কিন্তু এটা ফেসবুক বলেই আপনাকে খুব সহজে ট্র্যাক করা যাবে, ধরে ফেলা যাবে।

তাই কমেন্ট করার সময় একটু ভেবেচিন্তে করলেই দেখবেন আপনার ভার্চুয়াল লাইফ কত সুন্দর হয়ে গিয়েছে!


১০) শেয়ারে সতর্ক হোন-  কথায় বলে, গুজব তথা মিথ্যে খবর বাতাসের আগে ছড়ায়। ফেসবুক কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে সেই বাতাসের গতিও অনেকখানি বেড়ে গেছে। কোনো কিছু ফেসবুক বা ইউটিউবে দেখামাত্রই আমরা বিন্দুমাত্র চিন্তা-ভাবনা না করেই বিশ্বাস করে বসি। তারপর সেগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়ায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখি। অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেসব খবর বা তথ্যের সত্যতা থাকে না। তাই এ বিষয়গুলো বিশ্বাস করা বিশেষত শেয়ার করার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।


ফেসবুককে শুধুই একটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে না দেখে, এটাকে ব্যবহার করে ঘটিয়ে দেয়া যায় অসাধারণ কিছু পরিবর্তন! ফেসবুকের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাকে কেবলমাত্র বিনোদনের কাজে না লাগিয়ে একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু আমরা ফেসবুককে বানিয়ে ফেলতে পারি কার্যকর একটা জায়গা, যেখান থেকে সহায়তা পাওয়া যাবে চাইলেই! চলুন জেনে নেওয়া যাক এরকম কিছু উদ্যোগের কথা।


১) সাংবাদিকতা হোক এবার ফেসবুকে-

ফেসবুকে সাংবাদিক হতে গেলে আপনাকে কোনো সাংবাদিকতার ডিগ্রি নিতে হবে না। আপনার স্ট্যাটাস বারই হচ্ছে আপনার সংবাদ, ফেসবুকের নিউজ ফীড হলো সেই সংবাদপত্র। চারপাশে প্রতিনিয়ত প্রচুর অসঙ্গতি চোখে পড়ে আপনার। হয়তো এগুলো দেখে হতাশ হয়ে চলেও যান আপনি। কিন্তু চাইলেই প্রতিবাদ করতে পারো, চাইতেই পারো একটা সুন্দর পৃথিবীর। যেটা করতে হবে, সেটা হলো এই ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে দেওয়া সম্ভব!


আপনার এলাকায় ডাস্টবিন নেই, সেটা লিখে শেয়ার করুন সবার সাথে, সবার প্রতিবাদে একসময় ডাস্টবিন আসবেই! ইভ টিজারদের বড় উৎপাত? ছবি আর ভিডিও করে শেয়ার করে দিন, পুলিশকে জানান। ইভ টিজিং বন্ধ হতে বাধ্য হবে! ফেসবুকের সংবাদকে এভাবে কাজে লাগালে জীবন হবে আরো সুন্দর।


২) রক্তদান হোক আরো সহজ-

এই আইডিয়াটা ব্লাড গ্রুপ নিয়ে। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক অর্গানাইজেশন আছে যারা এই রক্ত সংগ্রহের জন্যে, মুমূর্ষু রোগীদের একটুখানি বাঁচার সুযোগ করে দেবার জন্যে দিন রাত খেটে চলেছে। প্রায়ই রক্ত দেবার জন্যে বিভিন্ন রক্তদাতা সংগঠন থেকে পোস্ট আসে। এই পোস্টগুলোয় কেউ সাড়া দিতে দিতে হয়তো রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়! এমনই একটা সংগঠনের একজন আমাকে একটা আইডিয়া দেয়। খুব সহজ কিন্তু দারুণ কার্যকরী একটা আইডিয়া।

আমাদের সবারই কিন্তু একটা সোশ্যাল আইডি কার্ড আছে। তার নাম সোশ্যাল মিডিয়া, যাকে ফেসবুক বললে ভুল হবে না। এই ফেসবুকে প্রোফাইল অংশটায় ছোট্ট একটা বায়ো অংশ আছে। এইখানে আমরা নিজের পরিচয় দেয়ার পাশাপাশি যদি নিজের ব্লাড গ্রুপটাও দিয়ে দেই, এতে আরো দ্রুত রক্ত সংগ্রহ করা যাবে, হয়তো বাঁচানো সম্ভব হবে আরো কিছু প্রাণ! ভেবে দেখুন, আপনার বায়োতে ছোট্ট করে ব্লাড গ্রুপ লেখার কারণে হয়তো কারো জীবন বেঁচে যাচ্ছে!


৩) সামাজিক ইস্যুতে ফেসবুক হতে পারে কার্যকরী-

ফেসবুককে এখন বলা যায় মানুষের মত প্রকাশের সবথেকে কার্যকর উপায়গুলোর একটা। ফেসবুকে সমাজের নানা বিষয় যেভাবে তুলে ধরা সম্ভব, সামনাসামনিও হয়তো তেমনটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে কিন্তু গণসচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব।


শাহবাগ চত্বরের সেই আন্দোলনের শুরুটাও কিন্তু ছিল একটা ফেসবুক পোস্ট থেকেই। আর তাই উদ্ভট অপ্রয়োজনীয় ইভেন্ট না খুলে দরকারি ইভেন্টের মাধ্যমে আপনিও গণজাগরনের শুরুটা করতে পারেন!


৪) ফেসবুক শপকে কাজে লাগান আয়ের উৎস হিসেবে-

ফেসবুকে শপ নামে একটা চমৎকার অপশন রয়েছে। এই শপকে ব্যবহার করে কিন্তু অনলাইনে শপিং করা সম্ভব, কিছু বিক্রি করতে চাইলেও ফেসবুককে দারুণ একটা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায়! ধরুন, আপনার একটা জার্সির দোকান আছে। আপনি যদি এই জার্সিগুলোকে ফেসবুক শপে রাখেন, তাহলে নির্দ্বিধায় আপনার দোকানের বিক্রি বাড়বে, জনপ্রিয়তাও বেড়ে যাবে!


৫) চ্যাটিং থেকে যদি শেখা যায় নতুন কিছু; তবে চ্যাটিং ভালো-

আমরা সবাই কোনো না কোনো ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ চ্যাটে আছি। হোক সেটা বন্ধুদের গ্রুপ চ্যাট, হোক সেটা ডিপার্টমেন্টের কোনো ক্লাবের গ্রুপ চ্যাট, কিংবা ছোটবেলার বন্ধুদের গ্রুপ চ্যাট। সেখানে আমরা সারাদিনই বিভিন্ন বিচিত্র বিষয় নিয়ে বকবক করতেই থাকি। এই গ্রুপ চ্যাটটাকে কিন্তু কোনোকিছু শেখার জন্যে দারুণ কাজে লাগানো যায়!


ধরুন, আপনি ইংরেজি শিখতে চান। এই গ্রুপ চ্যাটে যদি বন্ধুদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে থাকেন, তাহলে তাঁদের যেমন ইংরেজির প্র্যাকটিস হবে, আপনিও কিন্তু এই বিদেশী ভাষাটায় পারদর্শী হয়ে উঠবেন ধীরে ধীরে! এছাড়া আরেকটা উপকার আছে এখানে। ধরুন, আপনি ইংরেজিতে কিছুটা দুর্বল। এমনিতে এই ভাষা প্র্যাকটিস করতে তাই লজ্জা লাগবে আপনার। কিন্তু বন্ধুদের মধ্যেই যদি কথা বলেন, তাহলে আর লজ্জা কিসের?


৬) ফেসবুকেই হোক গ্রুপ স্টাডি-

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় সব ব্যাচেরই নিজেদের জন্যে একটা ফেসবুক গ্রুপ আছে। সেখানে তারা ডিপার্টমেন্টের নানা খবর, নোটিশ নিয়ে পোস্ট করে। আমার ছোটভাইকে সেদিন দেখলাম এই গ্রুপ আর ফেসবুক লাইভকে ব্যবহার করে চমৎকার একটা কাজ করছে। পরীক্ষার আগের রাতে সে তাদের ফেসবুক গ্রুপে লাইভে গিয়েছে, এবং সেখানে সে পরীক্ষা নিয়ে তার বন্ধুদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে! পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছে, কোন চ্যাপ্টারের কোথায় কী পড়তে হবে সব বলে দিচ্ছে সে।


আমার নিজের ফার্স্ট ইয়ারের কথা মনে হয়। আমরা তখন পরীক্ষার আগে আগে যে বন্ধুটা সবচেয়ে ভালো পড়া পারে, তাকে ঘিরে বসে পড়া বুঝে নিতাম। এই সমস্যার কি সুন্দর ডিজিটাল সলিউশান হয়ে গেল এভাবে! আপনাদের মধ্যে যে ভালো পড়া বোঝেন, সেটা যে বিষয়েই হোক, তা নিয়ে যদি আপনারা এভাবে তোমাদের গ্রুপে লাইভে যান, কী দারুণ হবে না ব্যাপারটা? এতে যে বন্ধুটা পড়াশোনায় দুর্বল তার যেমন উপকার হবে, তেমনি ভালো ছাত্রদেরও ঝালাই করে নেয়া হবে তাদের পড়াগুলো!


৭) একটি শেয়ারেই হবে স্বপ্নপূরণ-

এই আইডিয়াটা আমি পাই একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে। আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ, আরিফ আর হোসাইন এর একটা স্ট্যাটাস থেকে!


একটা স্কুল বানানো হচ্ছিল। কিন্তু অর্থের অভাবে কাজটা আর এগোচ্ছিল না। আরিফ ভাইয়া একটা স্ট্যাটাস দিলেন। খুব সহজ কাজ। স্কুলটার জন্যে সবাইকে অনুরোধ করলেন একটা করে শেয়ার কিনতে। ৩০০ টাকার একটা শেয়ার। কিছুদিনের মধ্যেই প্রচুর মানুষ এই শেয়ার কিনে জোগাড় করে ফেললেন স্কুলের টাকাটা! একবার ভাবুন তো? আপনার শেয়ারের কারণে কত শিশুর মুখে হাসি ফুটছে? মনটাই ভালো হয়ে যায় না ভাবলে? এইভাবে একটা শেয়ার কেনার ভালো কাজের মাধ্যমে বিশাল একটা ভালো কাজের অংশ হয়ে গেলেন আপনিও! আর ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে এখানেও ঘটে গেল ছোটখাট একটা বিপ্লব!


৮) সিভির প্রতিফলন ফেসবুকেও রাখুন- 

চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো সিভি চেক করার পরপরই এখন সবার আগে চেক করেন প্রার্থীর ফেসবুক প্রোফাইল। তাই, সিভিতে নিজের আগ্রহ ও দক্ষতা হিসেবে যা যা উল্লেখ করেছেন সেটার প্রতিফলন রাখুন আপনার ওয়ালেও।


৯) প্রোফাইলে ফুটে উঠুক নিজের ব্যক্তিত্ব- 

আপনি যা যা করতে ভালোবাসেন, যেসব বিষয়ে আপনার আগ্রহ, যা যা করতে পারদর্শী সেই বিষয়গুলো যাতে আপনার প্রোফাইল ঘাঁটলেই বোঝা যায়। আপনার ব্যক্তিত্ব পুরোপুরিভাবে ফুটিয়ে তুলুন নিজের প্রোফাইলে।


মনে রাখবেন, ফেসবুকে যাচ্ছেতাই কমেন্ট/ পোস্ট করে শখানেক রিঅ্যাকশন পেলেই আপনি হিট নন। ফেসবুকের এই করণীয় এবং বর্জনীয় আদবকেতাগুলোকে অনুসরণ করতে পারলেই কেবল নিজেকে ফেসবুকে হিট বলে দাবী করতে পারবেন।